৯৯৯ আসা ফোনের ৫৬ শতাংশই অপ্রয়োজনীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৩ মে ২০২৫


দেশের বিপদগ্রস্ত নাগরিকদের জরুরি মুহূর্তে সেবা দিতে চালু করা হয় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর- ৯৯৯। পুলিশ পরিচালিত এ সেবা নম্বরে আসা কলগুলোর মধ্যে ৫৬.২৭ শতাংশই ব্ল্যাংক কল, প্র্যাঙ্ক কল এবং মিসড কল। এ অপ্রয়োজনীয় কলগুলো ৯৯৯-এর দ্রুত সেবাপ্রাপ্তি ব্যাহত করছে।

প্রচলিত টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে বিরক্তিকর কলের জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে ৯৯৯ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কারও বিরুদ্ধে আইনে অভিযোগ আনেনি। পুলিশ টেলিকমের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (টেলিকম) মহিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর চালু থেকে গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৯৯৯ নম্বরে সর্বমোট কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবা দেওয়া হয়েছে কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জনকে। সেবা পেয়েছে মোট কলের ৪৩.৭৩ শতাংশ। অপরদিকে কোটি ৫১ লাখ হাজার ২১ টি কলের সাথে সেবা প্রত্যাশার কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো ব্ল্যাংক কল, প্র্যাঙ্ক কল এবং মিসড কল। এটা মোট কলের ৫৬.২৭% শতাংশ।

পুলিশ বলছে, বিপুল সংখ্যক এ অপ্রয়োজনীয় ফোন-কল কল-ওয়েটিং টাইম বাড়িয়ে দেয়। এতে সত্যিকার বিপদগ্রস্ত জরুরি সেবা প্রার্থী কলারকে ৯৯৯-এর সেবাপ্রাপ্তিতে বিলম্ব ঘটায়। এছাড়া ৯৯৯-এর কলগ্রহীতাদের বিরক্তির কারণ হয়েও দাঁড়ায়।

এদিকে অপ্রয়োজনীয় কলের ক্ষেত্রে আইনির দিকে না হেটে বরং ৯৯৯ জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। ৯৯৯ এর ওপর জনগণের আস্থা ভরসাসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে অপ্রয়োজনীয় কলের সংখ্যা দিন দিন কমছে। এরই ধারাবাহিকতায় অপ্রয়োজনীয় কল শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সবার সহযোগিতা দরকার।

 

বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর