বিদেশি কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের গুলিবর্ষণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২২ মে ২০২৫


ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে জেনিন শরণার্থী শিবিরে মানবিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলির মুখে পড়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব এশীয় দেশগুলোর কূটনীতিকরা। ঘটনায় হতাহতের ঘটনা না ঘটলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, পূর্বনির্ধারিত রুট থেকে সরে কূটনীতিকরা একটিনিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করেছিলেন। এ জন্য তাদের সতর্ক করতেই গুলি চালানো হয়। এটিসতর্কতামূলক গুলি ছিল এবং এতে কেউ আহত হয়নি। খবর সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

পশ্চিম তীরে নিযুক্ত ইসরায়েলি সামরিক প্রশাসনের প্রধান জানিয়েছেন, ঘটনাটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন তারা। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিতও করা হবে।

মূলত গুলিবর্ষণের এ ঘটনা পশ্চিম তীরে বাস্তব অবস্থা কতটা ভয়াবহ, সেটাই জানান দিয়েছেন। সেখানে কেউই নিরাপদ নয়, এমনকি কূটনীতিকরাও নয়। উত্তর পশ্চিম তীরের জেনিন, তুলকারেমসহ আশপাশের এলাকাগুলো সম্পূর্ণ ঘেরাও করে সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে। এতে দশ-হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিবর্ষণের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এত দেখা যায়, সাংবাদিকদের সঙ্গে কূটনীতিকদের কথা বলার সময়  আকস্মিকভাবে গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে সবাই আতঙ্কে আশ্রয় নিতে ছুটে যান।

ওদিকে আল জাজিরার ফ্যাক্টচেক ইউনিটসানাদ যাচাই করে নিশ্চিত করেছে, ঘটনাস্থলের পাশে দুজন ইসরায়েলি সেনা দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের অস্ত্র কূটনীতিকদের দিকেই তাক করা ছিল। সেখানে প্রায় ২০ জন কূটনীতিক  জেনিনের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং করছিলেন বলে এপিকে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ত্রাণকর্মী।

ওদিকে এ ঘটনাকে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ভয়াবহ অপরাধ হিসেবে দেখছে। দেশটি বলেছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি কূটনৈতিক দলের ওপর সরাসরি গুলি চালিয়েছে, যারা অনুমোদন পেয়েই গিয়েছিলেন সেখানে।

 

বিডি২৪অনলাইন/আইডিএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর