নতুন করে আরেকটি ঢল সামাল দেওয়া সম্ভব নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ মে ২০২৫


প্রায় ১২ লাখ  বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, নতুন করে আরেকটি ঢল সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। এটা বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বুধবার (২১ মে) রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। রাখাইন অঞ্চলের মানবিক করিডোর ইস্যু নিয়ে প্রেস ব্রিফিং ডাকা হয়।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান,  রাখাইনে তীব্র মানবিক সংকটের কারণে মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়টি উত্থাপিত হয় সেখানে। ইউএনডিপির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আসন্ন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। এমন পরিস্থিতি রাখাইন থেকে আরও মানুষকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করবে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে আরও বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব না। বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা দেশের জন্য বড় বোঝায় পরিণত হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে হানানো হয়,  রাখাইনে মানবিক সহায়তা প্রদান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এবং আরাকানের শাসনব্যবস্থা ও নিরাপত্তা কাঠামোর সব স্তরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও অন্তর্ভুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার স্বার্থে আরাকান বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।  একই সঙ্গে, মিয়ানমার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা সংকট টেকসইভাবে সমাধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

খলিলুর রহমান জানান, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের জন্যই নিরাপত্তা ঝুঁকির। ল্যান্ডমাইন ও আইইডির মতো বিস্ফোরক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য হুমকি। সহায়তা প্রদানের আগে এ বিষয়গুলো সমাধান করা প্রয়োজন।

 

রোহিঙ্গা ঢলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে আরও বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব না। আরও মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ না করে সেটা ঠেকাতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আরাকান বাহিনীকে বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর আর কোনো সহিংসতা, বৈষম্য এবং বাস্তুচ্যুতি যেন না হয়, সেটানিশ্চিত করতে হবে। আরাকান বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনসহ সব আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। গোটা বিশ্ব তাদের কার্যক্রম দেখছে। আরাকান বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ  যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে কি না, সেটা  এ অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বের ওপর নির্ভর করবে।

 

বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর