গভীর রাত, সময়টা তখন দুইটা। গোয়াল থেকে গাভী আর বাছুরসহ ৫টি গরু মিনি ট্রাকে তুলে রওনা হয় কয়েকজন। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গোয়ালশূন্য দেখে প্রান্তিক খামারি তোফাজ্জল হোসেন চিৎকার শুরু করেন। একে একে জেগে ওঠে গ্রামের মানুষ। ইতোমধ্যে গরু চুরির ঘোষণা দেওয়া হয় মসজিদের মাইকেও। ভুক্তভোগীর স্বজনসহ চারজন মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। তারাও ছুটেন দ্রুত গতিতে। পথে দুই গ্রামের আলাদা আলাদা করে ১০/১২ জন জড়োও হয়। কিন্তু দ্রুত গতি থাকায় সাহস হয়নি সামনে দাঁড়িয়ে চুরি করা গরু বহনকারী মিনি ট্রাকের গতিরোধ করার। ফলে ঠেকানো যায়নি গরু চুরি, ধরাও পড়েনি চোর। মাঝখান থেকে তোফাজ্জল হোসেনের ক্ষতি হয়েছে আর্থিক আনুমানিক সাড়ে ৪ লাখ টাকা।
পাবনার চাটমোহরের বামনগ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেনের গরু চুরির ঘটনার বর্ণনায় এমনটাই শোনা গেছে এলাকাবাসীর মুখে। ঘড়ির সময় ও দিনপঞ্জি অনুযায়ী মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
তোফাজ্জল হোসেনের চাচাতো ভাই সেকেন্দার আলী বলছিলেন, গরুগুলো গোয়াল থেকে অনেকটাই দুরে নিয়ে তোলা হয়। মোটরসাইকেলে আমি নিজেও ছিলাম। পথে বালুদিয়ার ও দেবীপুর গ্রামের মানুষ জানান, গরুবহনকারী মিনি ট্রাকটি দ্রুত গতিতে চলে গেছে। তাই তারা সামনে দাঁড়াতে পারেননি।
সেকেন্দার আলীর কথায়, ওই দুই গ্রামের মানুষের কথায় আরও সামনে এগোতে থাকে তারা। কিন্তু স্থানীয় শাহজাহান মোড়ে এসে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান। কেননা সেখানে রাস্তা দুই ভাগ হয়ে গেছে। গরুবহনকারী মিনি ট্রাক কোন দিকে গেছে, সেটা আঁচ করতে না পেরে সেখান থেকেই ফিরে যান তারা।
এদিকে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনো চুরি হওয়া গরু উদ্ধার বা চুরির ঘটনায় জড়িতদের আটকের খবর পাওয়া যায়নি। ওদিকে এতোগুলো গরু একসঙ্গে চুরি হওয়ায় সংসার খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে জমি বর্গাচাষী তোফাজ্জল হোসেন ও তার পরিবার।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে