দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি না থাকলেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে সক্ষমতার। শুধু আইন আর বিধি প্রয়োগ করে জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাবে না। এ জন্য ব্যক্তি পর্যায় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, সচেতন হতে হবে। জনগণের নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে সম্ভাব্য সরকার সবকিছুই করবে।
সোমবার (১৯ মে) রাজধানী ঢাকায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়। সেখাসেই বিষয়টি জানান খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। সভায় খাদ্য উপদেষ্টা সভাপতিত্ব করেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য খাদ্য শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত সবার প্রত্যক্ষ ও সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। এ শৃঙ্খলের সঙ্গে যুক্ত যে কেউ যে কোনো সময়েই খাদ্যকে অনিরাপদ করতে পারেন। সবসময়ইঅনিরাপদ খাদ্য শরীরের সুস্থতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলেও জানান তিনি।
নিরাপদ খাবার বিষয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এ সচেতনতা নিজ নিজ ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে মাত্রই কার্যক্রম শুরু করেছি আমরা, কিন্তু অনেক দূর যেতে হবে আমাদের।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে জানিয়ে খাদ্য উপদেষ্টা জানান, জাপান সরকারের অর্থায়নে ১০ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পের আওতায় ঢাকায় একটি ফুড সেফটি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি, চট্টগ্রাম ও খুলনায় দুটি খাদ্য পরীক্ষাগার, প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মাধ্যমে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগের খাদ্য নিরাপত্তা পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। দেশের অন্য বিভাগেও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের জন্য অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।
বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে