আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে রিজার্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

null

গেল রোববার জুলাই-আগষ্টের আকুর বিল পরিশোধ করা হয় দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। এরপর  আইএমএফ (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল)’ হিসাব পদ্ধতি বিপিএম- হিসাবে দেশের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। এ সময়ে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে তথ্য জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকতে হয় একটি দেশের কাছে।  আকুর দেনা পরিশোধের পরতাৎক্ষণিক ব্যবহারযোগ্যযে রিজার্ভ আছে এখন, সেটা দিয়ে তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

শেখ হাসিনা সরকারের সময়েই রিজার্ভ নিয়ে সঙ্কট দেখা দেয়। তার সরকারের পতনের পর  ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয় রাষ্ট্র পরিচালনার। এরপর থেকেই আবার রিজার্ভ বাড়াতে নানামুখী চেষ্টা চলছে। কিন্তু রিজার্ভ নিয়ে এখনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাটছে না।

প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত ২৮ আগস্ট বিপিএম- হিসাবে দেশের রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার।গ্রসহিসাবে  এর পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। গত সেপ্টেম্বর রিজার্ভ দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার।গ্রসরিজার্ভের পরিমাণ ২৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের সেপ্টেম্বর বিপিএম- হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার,গ্রসহিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৯ দমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে গত জুনের শেষে দেশের রিজার্ভ বেড়ে বিপিএম- হিসাবে দাঁড়ায ২১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আরগ্রসহিসাবে ওঠে ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। এর পেছনে কারণ ছিল আইএমএফের দশমিক বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার এবং বাজেট সহায়তার ঋণ হিসেবে  কোরিয়া সরকার, বিশ্বব্যাংক আইডিবি থেকে আসা মোট ৯০ কোটি ডলার  রিজার্ভে যুক্ত হওয়া।

গত জুলাই  আকু মে-জুন মেয়াদের দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করা হয়। এরপর রিজার্ভ কমে বিপিএম- হিসাবে হয় ২০ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার আর  গ্রসহিসাবে দাঁড়ায় ২৫ দশমিক বিলিয়ন ডলারের নিচে।

এরপর অবশ্য কয়েকটি দাতা সংস্থার ঋণ যুক্ত হওয়ায় রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছিল। কিন্তু সবশেষ আকুল বিল পরিশোধের পর  সেটা আবার কমে যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যকার একটি আন্তআঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা হচ্ছে আকু। ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ এশিয়ার ৯টি দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি ব্যয় প্রতি দুই মাস পরপর নিষ্পত্তি হয়।  

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং গভর্নর রিজার্ভ বাড়াতে আইএমএফের কাছে আরও বাজেট সহায়তা চেয়েছে। বিষয়ে আইএমএফও ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এর বাইরে বেশ কয়েকটি দাতা সংস্থার কাছ থেকেও ঋণ পাওয়ার কথা রয়েছে। এসব ঋণ যুক্ত হলে রিজার্ভ আবার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর