মজুত আছে আপদকালীন খাদ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৪ মে ২০২৪

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। তবে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে আটকে রয়েছে।  প্রতি মাসে বিলিয়ন ডলার খরচ ধরলে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা নেই।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেননা আপদকালীন খাদ্য মজুত রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মে)  প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে  ১৪ দলের নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে সূচনা বক্তব্যে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সব সময় ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়ে যায়। এছাড়া  ডলারের দর বেশি থাকায় রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। সব মিলে কোরবানি ঈদের আগে রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২১ মে পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক শূন্য বিলিয়ন ডলার। বিপিএম- ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ১৮ দশমিক বিলিয়ন। গত ১৫ মে গ্রস রিজার্ভ নেমেছিল ২৩ দশমিক ৭২বিলিয়ন এবং বিপিএম- ছিল ১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট রিজার্ভের বাইরে আরেকটি হিসাব থাকে। এটা শুধু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) জানানো হয়। বাইরে প্রকাশ করা হয় না। আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। জানা গেছে, হিসাবে ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৩ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

ওদিকে  ১৪ দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মতো অনেক দেশেরই রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। তবে আপদকালীন খাদ্য মজুত থাকলে রিজার্ভ কম কোনো সমস্যা না। তারপরও এটা নিয়ে আমি  সচেতন করায়, এখন দেখি সবাই এনিয়ে কথা বলছে। এটা ভালো, অন্তত বললে- সবাই সচেতন থাকবে।

সরকার প্রধান বলেন, সবাইকে উৎপাদনে মনোযোগী হতে বলা হয়েছে। নিজেদের চাহিদা পূরণে অনাবাদি জমি আবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ নিতে বলেছি। গোপালগঞ্জে একটা সমিতির মাধ্যমে আমরা  চাষাবাদ করেছি। সেখানে সবাই এটা করছে। এভাবে অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনলে খাবারের অভাব তো হবেই না, বরং রপ্তানি করতে পারব আমরা।

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর