গুজব বা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে ধৈর্য ধারণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে সাধারণ মানুষকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেই সঙ্গে বলেছে, সেনাবাহিনী মাইকে বার বার ঘোষণা দিয়ে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলেও সেনাবাহিনীর ওপর বিপুল সংখ্যক ককটেল ও ইট পাটকেল ছুড়ে তারা এক পর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। পরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে বিশৃঙ্খলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপালগঞ্জে একটি রাজনৈতিক দলের জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে জনসমাবেশ ঘিরে  এলাকার একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা সংঘবদ্ধভাবে গোপালগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকারি যানবাহনে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক আহত হন। পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আইএসপিআর আরও জানায়, পরে ওই  জনসমাবেশ চলাকালীন মঞ্চে পুনরায় হামলা চালানো হয় এবং একই সঙ্গে জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এমতাবস্থায়,  মাইকে বারংবার ঘোষণা দিয়ে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে সেনাবাহিনী। কিন্ত তারা সেনাবাহিনীর ওপর বিপুল সংখ্যক ককটেল ও ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা করে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। প্রশাসন কর্তৃক জারি করা কারফিউ চলমান রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব এবং প্রশাসনের অন্যান্য সংস্থাগুলো ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও জননিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে