চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ নভেম্বর ২০২৩

পুরো ভারতকেই স্তব্ধ করে দিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের মাটিতেই ভারতের দেওয়া ২৪১ রানের টার্গেট ৪২ বল আর উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে অজিরা।

২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের এ শিরোপা ঘরে তোলার মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা এখন অষ্ট্রেলিয়ার। মাঠে নামার আগেই সংবাদ সম্মেলন জয়ের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। বলেছিলেন, আহমেদাবাদে ভারতীয় দর্শকদের স্তব্ধ করে দিতে চান তিনি।

ফাইনাল ম্যাচ উপলক্ষ্যে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম পরিণত হয় নীলের মহাসমুদ্রে। নিজ দেশে চ্যাম্পিন ট্রফি উঁচিয়ে ধরবেন রোহিত শর্মার দল, এমন আশা ছিল ভারতীয় শত কোটি সমর্থকের।  কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে ম্যাচ শেষে।

ম্যাচ হারার আগে ফাইনালে টস হেরে যায় ভারত। অজিদের পক্ষ থেকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ তারা তারা। যদিও রোহিত শর্মার ইচ্ছা ছিল টস জিতলেও আগে ব্যাটিং করবেন। গড়ে দেবেন রানের পাহাড়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পেসারদের আগুন সম বোলিংয়ের সামনে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেনি তারা। ফাইনালের পিচও ব্যাটিং অনুকূলে না থাকায় অসমান বাউন্স দারুণ ভুগিয়েছে রোহিত শর্মাদের। পুরো বিশ্বকাপে নিজেদের ম্যাচগুলোর মধ্যে ফাইনালের দিনেই প্রথম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ভারতের মিডলঅর্ডার। সেটাও তারা নিতে ব্যর্থ হয়। টানা বাউন্ডারি খরায়  ভারতেরে স্বল্প পুঁজি। ইনিংসে বড় স্কোর ছিল রাহুল আর কোহলির, পঞ্চাশের দেখা পেয়েছেন তারা। কিন্তু রাহুল ফিরে যাওয়ার পর আর কেউ বড় স্কোর করতে  পারেনি। ফলে ইনিংস শেষ হয় ২৪০ রানে।

এদিকে ২৪১ রানের লক্ষ্যে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নামা ভারতের বোলাররা শুরুতে ‘কঠিন বল’ করছিলেন। জাসপ্রিত বুমরাহ আর মোহাম্মদ শামিকে শুরুতে সামাল দিতে পারেনি অজি ব্যাটিং লাইন-আপ। ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ আর স্টিভেন স্মিথ তিনজনেই পরাস্ত হওয়ায় দ্রুত উইকেট তুলে নেয় ভারত। তখনও শিরোপা স্বপ্ন জ্বলজ্বল করছিল ভারতের। কিন্তু সেটায় আশায় গুড়ে বালিতে পরিণত করে এক প্রান্তে টিকে থাকা ওপেনার ট্রাভিস হেড।

মার্নাস ল্যাবুশেনের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটি বাধেন তিনি। এ দু‘জন ম্যাচটাকে ছিনিয়ে নেন স্বাগতিকদের হাত থেকে। লম্বা জুটি গড়ার সঙ্গে সেঞ্চুরিও পেয়ে যান ট্রাভিস হেড। ইনিংসটা শেষ করে অবশ্য সাজ ঘরে ফেরা হয়নি তারা। জয়ের বন্দর  থেকে মাত্র রান দূরে থাকতে মোহাম্মদ সিরাজের বলে আউট হন তিনি।  ওদিকে ৯৯ বলে ধৈর্যশীল এক ইনিংস খেলে অর্ধশতকের দেখা পান ল্যাবুশেন।  এদের সেঞ্চুরি আর হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে বিশ্বকাপটা জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

 

বিডি/এস/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর