বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা গেলেও বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, তবে এ জন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশে এ কথা বলেন। যুবলীগের প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ সমাবেশ হয়, সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। দেশের চলমান অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না বলেও জানান এ সময় প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনার বক্তব্যে তার সরকারের টানা তিন মেয়াদের উন্নয়ন চিত্র ওঠে আসে। সমালোচনাও প্রকাশ পায় বিএনপির। দেশের অগ্রযাত্রাকে আরও সামনে নিতে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন- এসএমই ফাউন্ডেশন, প্রবাসী ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক- সব জায়গায় লোন আছে। তারা সেখান থেকে লোন নিতে পারে। নিজেরা কাজ করতে পারে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। পরনির্ভরশীল থাকলে হবে না, আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। এদিকে ওদিকে না ঘুরে কাজ করে দেশের উন্নতি করতে পারে। তিনি বলেন, যুব সমাজকে দেশ গড়ার কাছে মনোযোগী হতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করতে হবে। উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে এখন থেকেই কাজ করতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে। দেশের মানুষের কল্যাণ করতে হবে।
সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনাও দেন। বলেন, নিজের গ্রামে কোনও জমি যেন অনাবাদি না থাকে- সেটা দেখতে হবে। নিজের জমি চাষ করতে হবে; অন্যের জমিও যেন উৎপাদনশীল হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার জন্য সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক থেকে যুবসমাজ যেন দূরে থাকে। কোনোমতেই যেন কেউ সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। তার জন্য যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে অঙ্গীকার করতে হবে। সেভাবে কাজ করতে হবে। আদর্শ নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে সেটাই হবে সবার প্রত্যয় ঘোষণা, প্রতিজ্ঞা।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গও ওঠে আসে। বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ সৃষ্ট স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশনের ফলে বিশ্ববাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। তাই অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়েছে আমাদের আমদানি পণ্যগুলো।
এমকে