৩ মাসের মধ্যে সব টাকা পরিশোধের প্রস্তুতি কিউকমের

২০ অক্টোবর ২০২২

আগামী ৩ মাসের মধ্যে বাংলাদেশি স্টার্টআপ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের পাওনা সব টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টার কর্পোরেশন লিমিটেড। ইতোমধ্যে ফস্টারে আটকে থাকা কিউকম গ্রাহকদের সব টাকার মধ্যে ২২৪ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পেমেন্টের বিপরীতে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ চেক নিয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এপ্রিলে কিউকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. রিপন মিয়া কারাগার থেকে মুক্তির পর এ কার্যক্রমে গতি আসে। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে ফস্টার। সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার নজির ইতিহাসে কম।

এদিকে গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি নতুন উদ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে কিউকম। সুপার অ্যাপের মাধ্যমে তাদের সেবা পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া মার্কেটপ্লেসের পাশাপাশি অনলাইনে দ্রুত খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কিউফুড, গ্রোসারি শপ কিউমার্ট এবং লজিস্টিক ও পার্সেল ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান পিকমি এক্সপ্রেস নিয়ে কাজ করছে তারা। ফ্যাশন, মেডিসিনসহ আরও বেশ কিছু সেবা চালুরও উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কিউকম গ্রাহকদের ৩৯৭ কোটি টাকা ফস্টারে আটকে ছিল। এর মধ্যে গত ১০ জানুয়ারি থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২৪ কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ৭০৮ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। ৮টি রিফান্ড লিস্টের ভিত্তিতে ১৮ হাজার ৪৩২টি অর্ডারের বিপরীতে ২৬ হাজার ৮৫৬টি ট্রানজেকশনের মাধ্যমে এ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। বাকি ১ হাজার ২০০টি ট্রানজেকশনের মোট ৭ কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪০২ টাকাও পরিশোধের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

কিউকম জানিয়েছে, গত ২৪ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ কার্যক্রম শুরু করেন। সেদিনে ২০ জন গ্রাহককে ৪০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বোদ্ধারা। তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধের পর গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে- এটা বিশ্ব ইতিহাসে উদাহরণ হয়ে থাকবে।

ওদিকে কিউকমের সিইও মো. রিপন মিয়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সততার অনেক পরীক্ষার পর করপোরেট কোম্পানি, এসএমই মার্চেন্ট ও গ্রাহকদের সহযোগিতায় ফের কার্যক্রম শুরু করেছে কিউকম। এ ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে আস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি গ্রাহকবান্ধব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তারা।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর