বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বিশ্বসেরাদের অন্যতম: তথ্যমন্ত্রী

০১ জানুয়ারী ২০২১

করোনাপীড়িত ২০২০ সালেও শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, তা বিশ্বে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশগুলোর অন্যতম । এই করোনা মহামারীর বছরে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে বক্তৃতা শেষে বছরের শেষদিন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবিলার ড়্গেত্রে ব্লুমবার্গ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ উপমহাদেশের মধ্যে প্রথম ও সমগ্র বিশ্বের মধ্যে ২০তম স্থান অর্জন করেছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদন বাংলাদেশ ২০৩০ সাল নাগাদ ২৮তম অর্থনীতির দেশ হবে, ২০৩৫ সাল নাগাদ হবে পৃথিবীর ২৫তম অর্থনীতির দেশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থান দাঁড়াবে পৃথিবীতে বহু উন্নত দেশেরও ওপরে। তা ছাড়া ২০২০ সালে আমাদের অন্যতম বড় অর্জন হচ্ছে, কোনো বৈদেশিক সাহায্য ছাড়া সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, করোনাকালেও বাংলাদেশে মানুষের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৯০০ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। সম্প্রতি আইএমএফ রিপোর্ট বলছে, আগামী বছর বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে এই করোনা মহামারীর প্রতিবন্ধকতা জয় করে দেশে শারীরিক-সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও সরকারযন্ত্র, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞের আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে মহামারীতে একজন মানুষও না খেয়ে মৃত্যুবরণ করেনি।

মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও গণমাধ্যম প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রের চারটি স্তম্ভের মধ্যে গণমাধ্যম স্তম্ভ সুদৃঢ় থাকলে রাষ্ট্রও সুদৃঢ় থাকে। সে কারণে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের ঠিকানায় বাংলাদেশকে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন, সেই লক্ষ্যে স্বাধীনতার পরপরই তার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, প্রেস ইনস্টিটিউট ও ওয়েজবোর্ড। সেই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীন ও সুষ্ঠু বিকাশে বহু পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং তার হাত ধরে দেশের গণমাধ্যম বিকশিত হয়েছে, সেটি অতুলনীয়।


মন্তব্য
জেলার খবর