অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুমোদন

৩০ ডিসেম্বর ২০২০

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন) চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)।এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনলাইন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী এবং এনইসি’র চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা বিভাগের সদস্য জ্যেষ্ঠ সচিব আসাদুল ইসলাম ও পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারা জানান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে ৬৪ হাজার ৯৫৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন টাকা। এ ব্যয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ এবং বিদেশি উৎস থেকে আসবে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। মোট বিনিয়োগের মধ্যে সরকারি খাত থেকে আসবে ১২ হাজার ৩০১ দশমিক ২ বিলিয়ন টাকা। বেসরকারি খাত থেকে আসবে ৫২ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন টাকা।

পরিকল্পনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ শতাংশ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। পরিকল্পনায় ১ কোটি ১৩ লাখ ৩০ হাজার কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ লাখ ৫ হাজারের কর্মসংস্থান হবে বিদেশে। এ সময়ে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ দশমিক ০১ মিলিয়ন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২ দশমিক ১৩ মিলিয়ন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ দশমিক ২৬ মিলিয়ন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২ দশমিক ৫২ মিলিয়ন মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে সরকার। ২৫ অর্থবছরে দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নিয়ে আসা হবে। আর চরম দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কিছু অর্থনৈতিক সূচকের প্রক্ষেপণ: বছরে গড় জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৮ শতাংশ হারে ও মেয়াদান্তে হবে ৮.৫১ শতাংশ। মেয়াদান্তে দারিদ্র্যের হার ১৫.৬ শতাংশে ও অতি দারিদ্র্যের হার ৭.৪ শতাংশে দাঁড়াবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ১১.৩৩ মিলিয়ন, যার মধ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থান হবে ৩.২৫ মিলিয়ন এবং শ্রমবাজারে যুক্ত হবে ৭.৮১ মিলিয়ন শ্রমশক্তি। কর-জিডিপি’র অনুপাত ১২.৩ শতাংশ। মেয়াদান্তে প্রত্যাশিত গড় আয়ু হবে ৭৪ বছর। ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ জনগণকে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় আনা এবং মেয়াদান্তে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।

এমআই


মন্তব্য
জেলার খবর