তালিকা থেকেই নির্বাচন কমিশন গঠন

২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন সংক্রান্ত আইন পাস হওয়ার পর দেশে প্রথমবারের মতো নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার। আইন মেনে সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ নামের মধ্য থেকে ৫ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে সুপারিশের তালিকা থেকে বাদ পড়া ৫ জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

নতুন কমিশনে একজন সিইসিসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে যে ৪ জন নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের নাম আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট ব্যক্তি, পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সার্চ কমিটির কাছে প্রস্তাব করা তালিকাগুলোর মধ্যেই ছিল। সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি তাদের কাছে থেকে সব মিলে ৩২২ জনের প্রস্তাব পেয়েছিল। এ নামের তালিকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিল। যদিও বিএনপিসহ সমমনার বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল নাম প্রস্তাব করেনি।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি নিয়োগ পেয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকায় তার নাম রয়েছে ৪৯ নম্বরে। একই ভাবে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ পাওয়া সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানার নাম ২৬১ নম্বরে, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খানের ২৩৬ নম্বরে, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আলমগীরের নাম ১৫৪ নম্বরে এবং অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমানের নাম ১৪৪ নম্বরে রয়েছে তালিকাটিতে। যদিও রাজনৈতিক দল, বিশিষ্ট ব্যক্তি, পেশাজীবী সংগঠন প্রস্তাবিত নামের বাইরেও কাউকেও সিইসি বা অন্যান্য কমিশনার পদে নিয়োগের সুপারিশ করার এখতিয়ার ছিল সার্চ কমিটির।

প্রসঙ্গত, গঠনের পর সার্চ কমিটি তাদের ৭ম বৈঠকে ওই ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে। এর আগে প্রস্তাবিত ৩২২ জনের নামের মধ্যে প্রথম ধাপে ২০ জনের ও পরের ধাপে ১২-১৩ জনের নাম বাছাই করে তারা।  তার আগে নাম প্রস্তাব করতে সময় বেঁধে দিয়ে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি দেওয়া ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে সিভিসহ আবেদন করার সুযোগ রেখেছিল কমিটি। ইসি গঠন সংক্রান্ত আইন মোতাবেক ৫ ফেব্রুয়ারি এ সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর