শুক্রবার ভোর থেকে সড়ক পথে চলছে গণপরিবহনের (বাস-ট্রাক) ধর্মঘট। এখন নৌপথেও বন্ধ থাকবে লঞ্চ চলাচল। লঞ্চ ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর দাবিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা (যাপ)। তার আগে শুক্রবার এ দাবি মেনে নিতে সংশ্লিষ্টদেরকে চিঠি দিয়ে শনিবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় লঞ্চ মালিক সমিতি। ভাড়া না বাড়ানো পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যাপ’র সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া। এদিকে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চ সরানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ডিজেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার বা ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অনানুষ্ঠানিক ঘোষণায় চলছে গণপরিবহন ধর্মঘট। বুধবার থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
গণমাধ্যমকে যাপ’র সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, কয়েক বছর ধরেই ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে। কিন্তু তারা সে দাবি মানছে না। লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করায় লঞ্চ ভাড়া শতভাগ বাড়ানোর প্রস্তাবনাযুক্ত একটি চিঠি অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত দেখা হবে। এর মধ্যে তারা সিদ্ধান্ত না জানালে নিজেরা বসে কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এমকে