সারা দেশে অনানুষ্ঠানিক ঘোষণায় দু’দিন হচ্ছে গণপরিবহনে (বাস-ট্রাক) ‘ধর্মঘট’ চলছে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা, বিশেষত গত্যন্তর না থাকাদের। বাধ্য হয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা-টেম্পু, রিকশাসহ তিন চাকার স্থানীয় যানবাহনে ও ভেঙে ভেঙে যাতায়াতে ভাড়া হিসেবে তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা, পরিমাণে সেটা কখনো কখনো দ্বিগুনও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মাঝে।
পরিবহন সংগঠনের নেতারা বলছে, ডিজেল ও কেরোসিনের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার বা ভাড়া বাড়ানো না হলে বাস-ট্রাক চলবে না সড়কে। এ দুই দাবির একটাও না মানলে বাস-ট্রাক চালালে তাদের লোকসান গুনতে হবে।
এদিকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও ডিজেল ও কেরোসিনের বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। বলছে, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোর ফলে পণ্য ও যাত্রী বহনে খরচ বাড়বে। বাড়বে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়।
অন্যদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যাত্রী ও চাকরি প্রার্থীদের ভোগান্তির কথায় বিবেচনায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন পরিবহন সংগঠনের নেতাদের প্রতি। বলেছেন, ভাড়ার বিষয়টি নিয়ে রোববার পরিবহন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবে বিআরটএ। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যম জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে। শুক্রবার প্রেস ব্রিফিংকালে এ বিষয়টি জানান সেতুমন্ত্রী।
শুক্রবার ভোর থেকে সারা দেশে বাস-ট্রাকসহ পণ্যবাহী অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবহন সংগঠনের নেতারা। ডিজেল ও কেরোসিন তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার অথবা ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বৈঠকে করে সিদ্ধান্ত নিলেও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা দেয়নি তারা। তার আগে বুধবার লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়।
এমকে