ভারত ও নেপালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা

১১ মে ২০২১

ঈদ উপলক্ষে মানুষের বেপরোয়া চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ঈদের পরে দেশের পরিস্থিতি ভারত ও নেপালের মতো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক। মনে করছেন, এরকম ক্রিটিকাল সময়ে এ ভাইরাস দেহে নিয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ যদি গ্রামে চলে যায়, তাহলে গ্রামে থাকা পরিবার-পরিজনসহ গ্রামবাসী গণহারে আক্রান্ত হতে পারে।

সোমবার (১০ মে) ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় করণীয় বিষয়াদি নিয়ে বর্ডার এলাকার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে শহরাঞ্চলেও মানুষ এখন বেপরোয়া চলাফেরা করছে। ঢাকাসহ দেশের বড় বড় বিভাগীয় শহরে শপিং মলসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে মানুষ যাতায়াত করছে। এভাবে চলতে দিলে ঈদের পর দেশে ভারত ও নেপালের মতো ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। ঘরমুখো মানুষের  যাতায়াতকে একেবারে সুইসাইড সিদ্ধান্তের শামিল বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভারতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। ভ্যারিয়েন্টটি  নেপালে ছড়িয়ে সেখানে ভয়াবহতা সৃষ্টি করেছে। এ ভ্যারিয়েন্ট  আমাদের দেশেও চলে এসেছে। এ কারণে প্রতিটি বর্ডার এলাকার দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। বর্ডার এলাকার কোন যানবাহন নিজ জেলার বাইরে মুভমেন্ট যেন করতে না পারে, সে ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। উপস্থিত ছিলেন— স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা,খুলনা,চট্টগ্রাম,রংপুর ও সিলেট বিভাগের রেঞ্জ ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

 

এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর