দুশ্চিন্তা কমছে না ভোক্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ অগাস্ট ২০২৫

সরবরাহে ঘাটতির কারণ দেখিয়ে বাজারে বেড়েছে নিত্যপণ্য পেঁয়াজের দাম। কিন্তু ইতোমধ্যে পাইকারি বাজারে সামান্য কমলেও তার প্রভাব পড়েনি খুচরা বেচাকেনায়। ঢাকায় মান আকারভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ এখনো বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা থেকে ৮৫ টাকা দরে। পাইকারিতে দাম কিছুটা কমলেও মজুত কম থাকায় সরবরাহ চাপ সামলাতে খুচরায় দাম ধরে রাখতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিসংখ্যানেও দেখা গেছে বাড়তি দামের চিত্র। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ নিয়ে দুশ্চিন্তা কমছে না ভোক্তাদের।

পাইকাররা বলছেন, বছরের মাঝামাঝিতে বাজারে সরবরাহ সংকট অস্বাভাবিক নয়। আর এর প্রভাবে পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়ে যায়। এতে খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়ে দরের।

তারা জানান, তিন সপ্তাহ ধরে যথেষ্ট পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। আগে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ নামলেও এখন অনেক দিন একটা ট্রাকও আসে না। তাছাড়া মাঝে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাজারের ওপর চাপ বেড়েছে। এখন সীমান্ত দিয়ে যেটুকু আসছে, সেটাও পর্যাপ্ত নয়। বাজারে প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঘাটতির কারণে পাইকারি দর বাড়ছে, স্বাভাবিকভাবেই খুচরাতেও তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে প্রতি মণ পেঁয়াজ যেখানে ১২০০১৪০০ টাকায় কেনা যেতো, এখন সেই পেঁয়াজ কিনতে ২২০০২৫০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। তাই দাম বৃদ্ধির  দায় পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের নয়, মূল সঙ্কট সরবরাহে। জোগান না থাকলে দর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। দ্রুত আমদানি নিশ্চিত না করলে  অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

সাম্প্রতিক প্রকাশিত টিসিবির বাজারদরের তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত এক মাসে খুচরায় পেঁয়াজের দাম প্রায় ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। এক মাস আগেও যে পেঁয়াজের দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। বর্তমানে সেই পেঁয়াজ ৭৫ টাকা থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি।

ভোক্তারা বলছেন, এক মাস আগেও পেঁয়াজ পাওয়া যেতো ৫০-৬০ টাকায়, এখন সেই একই পেঁয়াজ ৭৫-৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২০২৫ টাকা দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। সরবরাহের ঘাটতির অযুহাত দিয়ে ব্যবসায়ীরা বাজার অস্থির করছেন। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে না নামলে সাধারণ মানুষের কষ্ট  বাড়বে বলে জানান তারা।

বিডি২৪অনলাইন/ইএম/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর