শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ইস্যুতে চাটমোহরে সংবাদ সম্মেলন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
১২ অগাস্ট ২০২৫

 

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়ে তোলা ইস্যূতে পাবনার চাটমোহরে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য শাহজাদপুর উপজেলার প্রস্তাবিত বুড়ি পোতাজিয়া এলাকার পরিবর্তে বিকল্প জায়গা খুঁজে বের করার দাবি জানানো হয়েছে। চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। ফেসবুকে প্রকাশ পাওয়া একটি ভিডিও থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে এমন সময় চাটমোহরে এ সংবাদ সম্মেলন হয়েছে, যখন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।   তাদের সঙ্গে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিরাজগেঞ্জের স্থানীয় নেতারা।

গেল রোববার যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে অবরোধ করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। তার আগে পরপর বেশ কয়েক দিন বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।

প্রতিষ্ঠার ৯ বছর পার হলেও এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ না হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন জায়গা খুঁজতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ দীর্ঘসূত্রিকায় আটকা পড়বে কিনা, সে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

এদিকে সংবাদ সম্মলনের লিখিত বক্তব্যের সারাংশ হচ্ছে-  দেশের অন্যতম বৃহৎ বিল হচ্ছে চলনবিল। পদ্মা, আত্রাই, বড়াল, নন্দকুঁজা, গুমানীসহ পদ্মা, আত্রাই, বড়াল, নন্দকুঁজাসহ ৪৭টি নদী, ১৬৩টি বিল, ৩০০টির বেশি ক্যানেল, লক্ষাধিক পুকুর এবং কয়েকটি বড় বড় পাথার- এর সমন্বয়ে গঠিত চলনবিলের সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা এক কোটিরও বেশি।

বর্ষা মৌসুমের পর যখন পদ্মা ও যমুনার পানি কমে যায়, তখন চলনবিল  অন্যতম বৃহত্তর এ দুই নদীকে তার পানি সরবরাহ করে। চলবিলের বিশাল জলরাশি যমুনা নদীতে পতিত হওয়ার একমাত্র পতনমুখ হচ্ছে বুড়ি পোতাজিয়া। এখানেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হলে হাজার বর্গমিটারের চলনবিল জলাবদ্ধতাসহ নানা রকমের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। উজান থেকে ভাটির দিকে চলনবিলের পানি প্রবাহ কমে গেলে বাঘাবাড়ী নৌবন্দরও সংকটে পড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নানা সময় সরকারি বেসরকারি অপরিকল্পিত কর্মকাণ্ড এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ইতোমধ্যে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে চলনবিল। এখন বুড়ি পোতাজিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস স্থাপিত হলে সেটা হবে চলনবিল ধ্বংসের সর্বশেষপেরেক’। তাই চলনবিলের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য বিকল্প জায়গা খোজা দরকার। বুড়ি পোতাজিয়ার পরিবর্তে অন্যত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থাপিত হবে, চলনবিলও রক্ষা পাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও চলনবিল দুটোই চায় চলনবিল রক্ষা আন্দোলন।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে



মন্তব্য
জেলার খবর