ছোট দেশি মাছ শিকারের সঙ্গে নিধন হচ্ছে পোনা আর মা মাছ

সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ, গুরুদাসপুর
২৯ জুলাই ২০২৫

চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নদী খাল-বিল এখন বর্ষার পানিতে টইটুম্বুর। মৎস্যভান্ডার খ্যাত দেশের সর্ববৃহৎ বিলসহ নদ-নদী, খালে শিকার করা হচ্ছে দেশি নানা প্রজাতির মাছ। সেই মাছ ধরার সঙ্গে নিধণ করা হচ্ছে ডিমওয়ালা মা পোনা মাছ। প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় স্থানীয় বাজারগুলোতে  প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে সরেজমিন গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড়সহ বিলশা, খুবজীপুর, কাছিকাটাসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা দেছে, প্রতিদিন সকাল-বিকাল বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে পোনা ডিমওয়ালা মাছ বিক্রি হচ্ছে। মাছগুলো নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি, কারেন্ট জাল, বাদাই জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে শিকার করা। বাজারগুলোতে এখন দেশি প্রজাতির টেংরা, বোয়াল, শিং, কৈ, পুটি, রুই, কাতলা, পাতাশী মাছ বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

চাঁচকৈড় হাটে বোয়াল মাছের পোনা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, টেংরা ৫০০ টাকা, শিং ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাছাড়া ডিমওয়ালা টেংরা ৬০০, বড় শিং মাছ ৬০০, দেশি কৈ ৫০০, গুচি ৮০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের প্রণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আকবর আলী বলেন, বর্ষা শুরু হলে জুলাই-আগস্ট মাসে চলনবিলসহ এলাকার নদী, খাল, বিল উন্মুক্ত জলাশয়ে মা মাছ ডিম ছাড়ে। সময় এসব মাছ ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ, ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কেউ আইনের তোয়াক্কা করছে না। এভাবে ডিমওয়ালা মাছ নিধন করা হলে চলনবিল থেকে দেশি প্রজাতির মাছ এক দিন হারিয়ে যাবে।

গুরুদাসপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রতন চন্দ্র সাহা বলেন, মা পোনামাছ সংরক্ষণ সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা চলছে। নিয়মিত বাজার পরিদর্শন, মোবাইল কোট পরিচালনা, জেল-জরিমানা, জাল আটক ও পুড়িয়ে  ধ্বংস করা হচ্ছে। মৎস বিভাগ নিষিদ্ধ কারেন্ট, বাদাইসহ সোঁতি, চায়না দুয়ারি জালে মাছ শিকার বন্ধে বদ্ধপরিকর। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ জানান, ডিমওয়ালা মাছসহ পোনা মাছ নিধন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করছে। চলমান অভিযানে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে

 



মন্তব্য
জেলার খবর