বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের প্রস্তাব

২০ জানুয়ারী ২০২২

দিন গড়ানোর সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। ইতোমধ্যেই সংক্রমণের দৈনিক শনাক্তের হার ২৫ ছাড়িয়েছে। সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া শক্তিশালীভাবে  ঠেকাতে এখনই মুখে মাস্ক ঠিকমতো পরাসহ করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হবে সবাইকে। না হলে সামনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মাস্ক পরিধান নিশ্চিতকরণে সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর জনপ্রতিনিধি ও ধর্ম প্রচারকদের মাধ্যমে জনগণকে সঠিকভাবে মাস্ক পরিধান এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রস্তাবটিসহ এ সুপারিশ করেছে  কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান কমিটি।

অন্যদিকে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রতিরোধসহ সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিসি সম্মেলনে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়র সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম  বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জুম প্ল্যাটফর্মে কমিটির ৫৩তম সভায় করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলোচনা হয়। সেখানে কিছু সুপারিশের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে আছে করোনা রোগী লক্ষণ প্রকাশের ১০দিন পর্যন্ত আইসোলেশনে থাকবে। করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন- এমন ব্যক্তিদের করোনার উপসর্গ না থাকলে কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু তাদেরকে টাইট মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। বিমানবন্দরসহ দেশের সব প্রবেশ পথে করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্য নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারি সব হাসপাতালে সার্বক্ষণিক করনোসহ  অন্যান্য সব রোগীর জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের বাস্তবায়নে অংশীজনদের যেমন- পরিবহন মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরা মালিক সমিতির নেতাসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর