বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে কমে গেছে যাত্রী পারাপার। এতে কমেছে সরকারের রাজস্ব আহরণ। যাত্রী কমে যাওয়ার পেছনে উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে টাকার মান কমে যাওয়া ও ভারতীয় ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লাগার কথা জানা গেছে। তবে টাকার মান বাড়লে যাত্রী পারাপার বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাবান্ধা বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত বছরে মাসভিত্তিক বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছেন জুলাইতে ৩ হাজার ৭৩৩ জন, আগস্টে-৪ হাজার ২০৬, সেপ্টেম্বর-৩ হাজার ১৪৯, অক্টোবরে-৩ হাজার ১০৭, নভেম্বর-২ হাজার ৪৭৩, ডিসেম্বরে-২ হাজার ৭৭০জন। সেটা আরও কমে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে এসে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৬২ জনে। এতে রাজস্ব আহরণ কমেছে ৬ লাখ থেকে ১৬ লাখ পর্যন্ত।
পাসপোর্টধারী পঞ্চগড়ের লিহাজ উদ্দিন বলেন, ভারতীয় ভিসা পেতে আমাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এখন ভিসার জন্য আবেদন করলে তিন থেকে সাড়ে তিন মাস পর তারিখ দেওয়া হচ্ছে। এরপর সেই তারিখে বই-কাগজপত্র জমা দিলে আরো ১০-১২ দিন পর ভিসা মিলছে। সব মিলিয়ে চার মাস পর্যন্ত সময় লাগছে ভারতীয় ভিসা পেতে।
চিকিৎসার জন্য ভিসা পাওয়া দেলয়ার হোসেন বলেন, আগে একবার ভারতে গিয়ে বাংলাদেশি ১০০ টাকায় ভারতীয় ৭৭ রুপি পেয়েছি। বর্তমানে ৬৮-৭০ রুপি দিচ্ছে। এদিকে দেশে নিত্যপণ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় এখন পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ জন্য এখন ভারতে যাওয়া হচ্ছে না।
বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত ওসি অমৃত অধিকারী বলেন, টাকার মান কমে যাওয়ায় এ চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রী পারাপার অনেক কমেছে। এখান দিয়ে অধিকাংশ যাত্রীই চিকিৎসার জন্য যায়। ব্যবসা, ভ্রমণ শিক্ষার জন্য গেলেও সেটার সংখ্যা কম। ভ্রমণসহ অন্যান্য ভিসার যাত্রী দিনে ১০ জনও পার হয় না বলেও জানান তিনি।
বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে