দেশের অবস্থা, ডলার সঙ্কট ও রফতানি আয়ের বিষয়টি নিয়ে সংসদে কথা উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদকে জানিয়েছেন, ডলার সংকট কমেছে। রফতানি আয়ও খুব একটা কমেনি। দেশের অবস্থাও অতটা খারাপ নয়। তবে সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে তার সরকার সতর্ক রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চলমান প্রথম অধিবেশনে বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন অধিবেশনে।

বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিছু খরচের ব্যাপারে মিতব্যয়ী হতে হয়েছে, কিছুটা সংকুচিত করতে হয়েছে আমাদের। ডলারের যথেষ্ট সংকট ছিল, কিন্তু ঠিক সেরকম সংকট এখন নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। আগে যেভাবে যখন-তখন এলসি খোলা হতো। এখন ইচ্ছেমতো হচ্ছে না, নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দিয়েও এলসি খোলেন অনেকেই। কিন্তু ওই টাকাটা ফেরত আসে না। তাই পণ্য কেনার ক্ষেত্রে এখন আন্তর্জাতিক ব্লুমবার্গের মূল্য তালিকা দেখে, মনিটর করে এলসি খুলতে দেয় সরকার।

রফতানি আয় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব একটা কমেনি। যেসব দেশে রফতানি করা হয়, এমনকি খুব ধনী দেশ, তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। বাজার সংকুচিত হওয়ায় অর্ডার কমেছে। অর্থনৈতিকভাবে খুব চাপে আছে, মূল্যস্ফীতি বেড়েছে তাদের। ফলে হয়তো কিছুটা কমেছে। তবে এ আয় বাড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিকল্প বাজার খুঁজে বেড়ানো, রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তার সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। বলেন, কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের যথাযথ মূল্য না পেলে সমস্যা হবে। আবার মূল্য বাড়লে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ কষ্ট পাবে।

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে