জাতীয় সংসদ- ফাইল ছবি
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) প্রথম অধিবেশনের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সংসদে উপস্থিত থেকে অধিবেশনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন দেশের বিশিষ্টজন ও ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ শুরুর আগের দিন মেয়াদপূর্ণ হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদের। বিদায়ী সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী নির্বাচিত হন। এ নিয়ে টানা চারবার স্পিকার নির্বাচিত হলেন তিনি। সংসদে স্পিকার হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ প্রস্তাবে সমর্থন জানান চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। স্পিকার পদে অন্য কোনও প্রার্থী না থাকায় কণ্ঠভোটে শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকার নির্বাচিত হন।
স্পিকার নির্বাচনের পর ২০ মিনিটের জন্য অধিবেশন বিরতি দেওয়া হয়। এ সময় সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে স্পিকার হিসেবে শিরীন শারমিন চৌধুরীকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ নেওয়ার পর নতুন স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক নির্বাচিত হন। এরপর প্রথম অধিবেশনের জন্য ৫ সদস্যদের সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন করা হয়। এরা হলেন—এবি তাজুল ইসলাম, শাহাবউদ্দিন, আ ফ ম রুহুল হক, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও উম্মে কুলসুম। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে নামের অগ্রবর্তিতা অনুসারে তারা সংসদের বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন।
সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন করার পর যথারীতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। শোক প্রস্তাবে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহসহ সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, সাবেক সংসদ সদস্য ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
পরে সংসদে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তার ভাষণের পর রোববার পর্যন্ত অধিবেশন মূলবতী ঘোষণা করেন স্পিকার।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে