রোহিঙ্গা শরণার্থীরা দেশের জন্য একটি বোঝা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মিয়ানমারে সব রাইটসহ তাদের প্রত্যাবর্তন একমাত্র সমস্যার সমাধান। আমরা আশা করি, অতি দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারবো।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। এর আগে চীন ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এবং ঢাকায় জাতিসংঘের প্রেসিডেন্টের কো-অর্ডিনেটর মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনান, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হয়েছে। আমরা চীনের সহযোগিতা কামনা করেছি। তারা জানিয়েছে, মিয়ানমারের সঙ্গে এনগেজমেন্টের মধ্যে আছে, আলোচনা করেছে তারা। মিয়ানমারকে বলছে, অন্তত বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবর্তনটা শুরু করতে। মিয়ানমার হয়ত খুব দ্রুত প্রত্যাবর্তন শুরু করবে বলে এ সময় আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কখনো একটু ভালো হয়, আবার কখনো খারাপ হয়। এ পরিস্থিতি সবসময় বিরাজমান। এ পরিস্থিতি সবসময় থাকবে না, অতি দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারব বলে আশা করি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউএন প্রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর রোহিঙ্গা ইস্যু ইন্টারন্যাশনাল স্পটলাইট থেকে কিছুটা হলেও দূরে সরে গেছে। তাই রোহিঙ্গা ইস্যু যেন ইন্টারন্যাশনাল স্পটলাইট থেকে হারিয়ে না যায়, সেজন্য তার সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে