রাজধানী ঢাকার ভেতরে চলাচলের জন্য অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা নারীর জন্য দিনকে দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে। নানা ধরণের বিড়ম্বনার পাশাপাশি যৌন হয়রানির মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচেছ তাদের।
এদিকে মান সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী নারীরা এমন পরিস্থিতি নীরবে মুখ বুজে সহ্য করায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে বাইকারদের একটা অংশ। আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্টরা বলছে, এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের সহায়তা নিতে পারেন ভুক্তভোগী।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, কিছুটা ঝক্কি-ঝামেলামুক্ত ভাবে চলাচল করতে নারীদের একটা অংশ রাইড শেয়ারিং কিংবা ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল সেবা গ্রহণ করেন তারা। ভুক্তভোগী নারীদের অভিযোগ, পথে প্রয়োজন না থাকলেও বারবার ‘হার্ড’ ব্রেক করা, স্বল্প দূরত্বের পথ অধিক ঘুরিয়ে নেওয়া হয়, অহেতুক ও বিব্রতকর ব্যক্তিগত নানা পশ্ন করা হয় । তাছাড়া ফোন নম্বরের মাধ্যমে এ সেবা নেওয়ায় অনেক বাইকারই রাত-বিরাতে ফোন ও মেসেজ দিয়ে বিরক্তও করে থাকে।
ভুক্তভোগীদের অনেকে অবশ্য সংশ্লিষ্ট অ্যাপে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। কিন্ত কোনো প্রতিকার পাননি বলেও জানান তারা। শাস্তি না হওয়ায় হয়রানির ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করেন তারা।
ওদিকে রাইড শেয়ারিং সেবায় এমন ঘটনাকে নারীর প্রতি একধরনের সহিংসতা বলে মনে করছেন অনেকে। তাদের মতে, রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনশৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে তৎপর থাকার পরামর্শ তাদের।
পুলিশ বলছে, এমন ঘটনার পরিস্থিতিতে পড়লে থানায় অভিযোগ দিতে। অভিযোগের অভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন না তারা। অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি/এন/এমকে