নানা প্রশ্ন দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে

১৩ জুন ২০২১

করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজের সঙ্কট আছে। আমদানিতেও সৃষ্টি হয়েছে এক ধরনের অনিশ্চিয়তা। ফলে দ্বিতীয় ডোজ ঠিক সময়ে পাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে প্রথম ডোজ নেয়া মানুষের মাঝে, বাড়ছে হতাশাও। টিকা আমদানিতে জোরালো পদক্ষেপের বিকল্প নেই বলেই মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যাদের কাছে টিকা আছে, তারা সবাই বলছে দেবে। কিন্তু কখন দেবে পরিষ্কার করে কিছু বলে না। তিনি জানান,যুক্তরাষ্ট্রকে টিকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। টিকা না পেলে দেশের প্রায় ১৫ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন না।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। সঙ্কট থাকায় গত মাসের শুরু (২ মে) থেকে করোনার টিকা নিবন্ধন বন্ধ করে দেযা হয়। তার আগে ২৬ এপ্রিল করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এদিকে প্রথম ডোজ নেয়া প্রায় ১৫ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দ্বিতীয় ডোজের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠেছে। যদিও প্রথম ডোজের ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার সুযোগ রয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিকে প্রথম ডোজের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা ) কোম্পানির টিকার সঙ্কটে অন্য কোম্পানির টিকা দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে একই ব্যক্তির দেহে প্রয়োগ করা যাবে কি-না, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে স্বাস্থ্য অধিদফতর পরামর্শ চেয়েছে বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যকে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের তরফ থেকে বিষয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া ব্যক্তিদের তিনি ধৈর্য্য ধারণের আহবান জানান। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১০ জুন টিকা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার মজুত রয়েছে এক লাখ ৩৯ হাজার ১২৯ ডোজ। এখন পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি ৬৫ হাজার ১২ ডোজ। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯৭ ডোজ আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন।

এমকে

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর