আছড়ে না পড়লেও ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ লাখ মানুষ

০৪ জুন ২০২১

বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে না পড়লেও ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে দেশের ১৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঝড়ে মারা গেছেন ৯ জন, বিধ্বস্ত হয়েছে ২৬ হাজার বাড়িঘর । ক্ষয়ক্ষতির এ হিসাব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের।

ইয়াসের প্রভাব পড়ে দেশের ১৬ জেলার ৮২ উপজেলা এবং ১৩ পৌরসভায়। উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় বাঁধ ও ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরা জেলায়, ৯৪ হাজার ৮৫০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জেলার আশাশুনি, দেবহাটা, কালীগঞ্জ, শ্যামনগর উপজেলার পৌনে ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে গেছে।  ছয় হাজার ৭৩৮ হেক্টর মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নোয়াখালীতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দুই লাখ মানুষ এবং ১০০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। পটুয়াখালীর আট উপজেলায় চার হাজার ২০৯টি বাড়িঘর আংশিক এবং ৪৮৪টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্তসহ  পাঁচ লাখ ৫৯ হাজার ৩৬৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পিরোজপুরে এক লাখ আট হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ঝিনাইদহে ৯৪টি বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাগেরহাটে  ২৪ হাজার ৯১৬ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্তসহ ৬৯০টি ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। বরগুনায় বিভিন্ন উপজেলার ১৭ হাজার ৩২০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্তসহ  এক হাজার ৮০০টি ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ভোলায় সাত হাজার ৭৩০টি ঘরবাড়ি আংশিক এবং তিন হাজার ৫৭৯টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। কক্সবাজারে দুই হাজার ৪৭০টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্তসহ ২০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেনীতে ২০০ বাড়িঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝালকাঠির এক লাখ ৪৯ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্তসহ  ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ৫০টি। খুলনার চার উপজেলায় দুই হাজার ২৪০টি ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাড়ে ছয় হাজার মানুষ। লক্ষ্মীপুরে ২২ হাজার মানুষের ক্ষতি হয়েছে। বরিশালের ১০ উপজেলা এবং ছয় পৌরসভার এক লাখ ২৭ হাজার ১৬২ জন মানুষের ক্ষতিসহ এক হাজার ২০০ ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ভোলার বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন, মনপুরায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ২৬০ জন মানুষ।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর