করোনার বিস্তার রোধকল্পে সরকার আরোপিত চলমান বিধিনিষিধের মেয়াদ আরো সাতদিন বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার (১৭ মে) ভোর ৬টা থেকে ২৩ মে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। আজ রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বলেছেন, চলমান বিধিনিষেধের আগের শর্তই বহাল থাকবে বর্ধিত মেয়াদে।
প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ঈদের পর ২২ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আমাদের ধারণা। এজন্য বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে বর্ধিত মেয়াদে মাস্ক ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে আইন প্রয়োগে পুলিশকে ম্যাজিট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার কথা ভাবছে সরকার। সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন -২০১৮ এর সংশোধনী এনে পুলিশকে এ ক্ষমতা দেয়া হবে। ক্ষমতা দেয়া হলে ঘরের বাইরে মাস্ক না পরলে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ আইনে শাস্তি দিতে পারবে পুলিশ।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে ডিজি হেলথের কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। ডিজি হেলথের পরামর্শ পেলে তা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে কেবিনেটে উপস্থাপনের পর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন। বাকি ১০ শতাংশ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করানো যাচ্ছে না। পুলিশ মাঠে নামলে দেশের সব মানুষই মাস্ক ব্যবহার করবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে পুলিশের কাছে সে ধরনের কোনো আইন বা আইনের ধারা নেই, ডিজি হেলথের নির্দেশে সিভিল সার্জনের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসক মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করতে পারে। আর একটি উপজেলায় বা জেলায় ১০টির বেশি মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই শতভাগ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করাতে পুলিশের কথা ভাবতে হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মানুষ মাস্ক পরছেন, এটি নিশ্চিত করতে না পারলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। শুধুমাত্র এ মাস্ক পরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুলিশের হাতে কিছুটা ক্ষমতা দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। অন্য কোনো বিষয় তাদের আওতায় দেয়া হবে না। এ নিয়ে বিভ্রান্তিরও কিছু নেই বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এমকে