ফেরাতেও শঙ্কা

১৫ মে ২০২১

হয়ে গেছে ঈদ, এবার গ্রামে থাকা পরিবার ও স্বজনদের কাছে থেকে শহরে ফেরার পালা। আর এ ফেরা পথে করোনার সংক্রমণ নিয়ে নতুন শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ফিরতি যাত্রা বিলম্ব করা না গেলে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রুপ নেয়ার আশঙ্কা রয়ে্ছে।  স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রধানের কথায় ও সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যে এ আশঙ্কা ফুটে ওঠেছে।ইতেমধ্যেই রাজধানীর ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালে ভারতীয় করোনার ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক। ফলে এ আশঙ্কায় নতুন মাত্রা পেয়েছে। উদ্ভুদ করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি যাওয়া মানুষের ফিরতি যাত্রা বিলম্ব করতে সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। অবশ্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বাড়ি যাওয়া মানুষের  ফিরতি যাত্রা বিলম্বিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। পরে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ফেরানোর ব্যবস্থা নেয়া হোক। তিনি আরো বলেন, ভারতসহ অন্য দেশের ভ্যারিয়েন্ট যেন আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ভারতের মতো পরিস্থিতি আমাদের দেশে তৈরি হলে নাজুক অবস্থা হবে। শুক্রবার (১৪ মে) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

এদিকে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবাদুল কাদেরের আশঙ্কা- ঈদ পরবর্তী শহরমুখী জনস্রোত করোনা সংক্রমণের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।বলেছেন, ঈদে গ্রামমুখী মানুষের বাঁধভাঙা জনস্রোত দেখা যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারে নতুন ধাক্কা লাগার আশঙ্কা করছেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শকে উপেক্ষা করার মাশুল গুনতে হতে পারে। এ জন্য জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি ও শতভাগ মাস্ক পরতেই হবে। শুক্রবার (১৪ মে) তাঁর সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। উদ্ভুদ করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা কাউকেই ছাড় দেয় না, তাই আসুন দল-মত নির্বিশেষে এ করোনা সংকট উত্তরণে ঐক্যবদ্ধ হই।

এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর