তীব্র গরমে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ নারী-পুরুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রায় গোটা দেশেই বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়ার এ রূপে পুড়ছে প্রকৃতি। গরমে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যথাসম্ভব রোদ পরিহারসহ যত্রতত্র ও রাস্তার পাশে পানিসহ খোলা জুস-শরবত পান ও খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এগুলোর পাশাপাশি শিশুদের আইসক্রিম থেকে দুরে রাখার পরামর্শ তাদের।

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় এদিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৮. ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিনিই তাপমাত্রা বাড়ছে।

গরমের এ অবস্থায় হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার নার্সরা। ঢাকায় শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউট (শিশু হাসপাতাল), মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব হাসপাতালে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। রোগী বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক।

ওদিকে গরমের সময় যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে কাজ করেন, সেসব মানুষের ঝুঁকিটা বেশি। তারা ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা), হিটস্ট্রোকের ঝুকিতে থাকেন। এছাড়া  ডায়রিয়া আর সর্দি-কাশি তো আছেই। এ অবস্থায় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় টানা এক ঘণ্টার বেশি রোদে না থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সবাইকে।

চিকিৎসকরা শিশুদের এ সময়টায় যথাসম্ভব বাসায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কোনোভাবেই বাইরে বের হতে দেওয়া যাবে না। আর বাইরে বের হলেও অবশ্যই বাসা থেকে বিশুদ্ধ পানি ও ছাতা ব্যবহার করতে হবে।

আরও পরামর্শ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, তীব্র গরমের সময়ে শিশুদের ঘাম যেন গায়েই না শুকায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ঘামটা শরীরে শুকালে বাচ্চাদের সর্দি-কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য ঘাম হলে সাথে সাথে শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। পাশাপাশি পানি তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়াতে হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এখন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেশি পাওয়া যাচ্ছে। তাই বাইরের অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বাসায় পানি খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। ঢাকায় যতটুকু সম্ভব পানি ফুটিয়ে, ফিল্টার করে পান করা নিরাপদ। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ হলো বাইরের খাবার। এখন বাইরে প্রচণ্ড ধুলাবালি থাকে। এগুলো বাতাসের মাধ্যমে উড়ে খাবারে গিয়ে পড়ে খাদ্য দূষণ হয়।

তারা বলেন, অনেকেই গরমে বেশি পরিমাণ ঠান্ডা পানি কোল ড্রিংকস পান করেন। এগুলোর মাধ্যমে জ্বর-সর্দি কাশি বেড়ে যায়। তাই এগুলো এড়িয়ে প্রচুর পরিমাণ স্বাভাবিক পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে পান করা উচিত। আরও ভালো হয় দু-একটা ওরস্যালাইন খাওয়া।

 

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর