দাবদাহে অস্বস্তি চরমে

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ এপ্রিল ২০২৪

কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে দাবদাহ। সেই সঙ্গে গ্রামাঞ্চলে বেড়েছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরে-বাইরে অস্বস্তিতে ধুকছেন সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড গরমে কর্মজীবী শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়। গরম বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। সেই সঙ্গে হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যাও। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সকাল থেকে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। থাকছে মধ্য রাত অবধি। দিনের বেলায় ঘরের বাইরে একটুতেই শরীর ঘেমে ভিজে উঠছে।  এদিকে রমজান মাসের কারণে দিনের বেলায় পানি পানের সুযোগ পাচ্ছেন না রোজাদাররা। অতিরিক্ত ঘাম হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্ম দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছে-  গরমে অতিরিক্ত ঘামলে মানুষের শরীর ডিহাইড্রেড হয় এর প্রভাবে  ডায়রিয়া, হিট স্ট্রোক, কলেরা, শ্বাসকষ্ট, খিঁচুনি, পেটের সমস্যা, সর্দি-জ্বরসহ নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বয়স্ক, শিশু অন্তঃসত্ত্বাদের ঝুঁকি বেশি। শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের চেয়ে বেশি হলে শরীরে ঘাম হয় না আর। তখন মাথাব্যথা, অস্থিরতা, বমি বমি ভাব, লাল র‌্যাশের উপসর্গ দেখা দেয়। বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট, শরীরে ক্লান্তিভাব ছাড়াও চোখে ঝাপসা দেখা দিতে পারে। অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারে অনেকে, এটা বিপজ্জনক। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা না দিলে রোগী মারাও যেতে পারে।

যারা দীর্ঘসময় রোদে থাকেন, তাদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি বয়স্ক এবং ডায়াবেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন ক্রনিক রোগে আক্রান্তদেরও এ  ঝুঁকি রয়েছে।  তাই প্রচন্ড গরমে ডিহাইড্রেশন যাতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শরীরে পানির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে লবণ মিশ্রিত পানি, বিশেষ করে স্যালাইন খেতে হবে। ভালো হয়য় ব্যায়াম বা ভারী কায়িক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকা। এরপরও কায়িক পরিশ্রমের দরকার হলেও প্রয়োজন কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রাম নেওয়া। কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হলে আরামদায়ক পোশাক এবং ছাতা নিয়ে বের হতে হবে। গরমে শিশু বয়স্কদের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। এ সময় শিশুদের রোদে বের হতে দেওয়া যাবে না। ফলের শরবত, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, স্যালাইন, গ্লুকোজ এবং পুষ্টিকর রসালো ফল বেশি খেতে দিতে হবে তাদের।

গরমের কারণে ঢাকায় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) হাসপাতালে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী আসছেন হাসপাতালে।  শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউটে গত কয়েকদিনের গরমে শিশুদের ডায়রিয়াসহ ঠান্ডা-জ্বর, নিউমোনিয়া এবং বিভিন্ন ধরনের রোগীর চাপ বেড়েছে।  

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর