২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রিজার্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২২ মার্চ ২০২৪

দেশে গেল ৬ মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল হাজার ৬৩৪ কোটি ডলার। সেখান থেকে ১৪ দিনে ১০৯ কোটি ডলার কমে ২০ মার্চ রিজার্ভ এসে দাঁড়িয়েছে হাজার ৫২৫ কোটি ডলারে। বিপিএম-৬’র হিসাবে বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৯৯৯ কোটি বা ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

সাধারণত ন্যূনতম মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয় যে কোনো দেশে। মাসে আমদানি খরচ ৬ বিলিয়ন ধরলে, সে হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ আমদানি খরচের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া একটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোও রিজার্ভের ওপর নির্ভর করে।

কেবল আমদানি খরচই নয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে খরচের যোগান দেওয়া হয় এ রিজার্ভ থেকে।

পরিসংখ্যান বলছে, কয়েক বছর ধরে দেশ ডলার সংকটে ভুগছে। জরুরি আমদানির দায় মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংককে। বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে ডলার বিক্রি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের কারণে রিজার্ভ কমছে বলে জানিয়েছেন  সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের শুরুতে দেশে গ্রস রিজার্ভ ছিল প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বিপিএম- অনুযায়ী এর পরিমাণ ছিল ২৩ দশমকি ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

অর্থনীতি সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার সংকট থেকে উত্তরণের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ানো। কিন্তু রপ্তানি ও রেমিট্যান্স এ দুই খাতে নেই সুসংবাদ, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম।

 

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর