চাঁদা বন্ধ হলে সহনীয় হবে মূল্যস্ফীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রতিকী ছবি

মূল্যস্ফীতির চাপে নাভিশ্বাস দেশের সাধারণ মানুষের। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারপরও খাদ্যের মূল্যস্ফীতি সব থেকে বেশি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি। এটা বন্ধ করা গেলে পণ্যের মূল্য অনেকটাই কমে আসবে। সঙ্গে সঙ্গে সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে মূল্যস্ফীতি। আর মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে এলে সংকোচন নীতি গ্রহণ করতে হবে না বাংলাদেশ ব্যাংককে।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)- এর একটি প্রতিনিধি দল। এ সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলে তারা। দলটির নেতৃত্ব দেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)

সাক্ষাৎকালে বিসিআই সভাপতি জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে ডলারের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট পজিটিভ হয়েছে। এটা আশাব্যঞ্জক এবং আর্থিক হিসাবও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পজিটিভ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা।

বিসিআই সভাপতি বলেন, বর্তমানে দেশের শিল্প খাত একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছে। দেশে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান তার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ সক্ষমতায় চলছে। তবে উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির কারণে সব প্রতিষ্ঠানের সেলস ড্রপ করেছে। গ্যাসের প্রেশার কম, ঋণের উচ্চ সুদহারের পাশাপাশি ব্যাংকগুলো যথাযথ সহায়তা দিতে পারছে না। সবকিছু মিলিয়ে দেশীয় শিল্প এখন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি ছয় শতাংশ নিয়ে আসাই এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু পলিসির কারণে বন্ডে বিনিয়োগের দিকে ব্যাংকগুলো উৎসাহিত হওয়ায় ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দেবে। নতুন বিনিয়োগ আসবে না, সঙ্গে বেকারত্বের হার বাড়বে। এ অবস্থায় বর্তমান পরিস্থিতিতে শিল্পগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি। ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা এলে সময় ব্যয় কমে আসবে এবং জ্বালানিরও সাশ্রয় হবে বলেও জানান তিনি।

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর