দেশে অষ্টম শ্রেণিতে ‘জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা’পুনরায় শুরু হচ্ছে। নতুন নীতিমালায় এবং নতুন আঙ্গিকে বছর শেষে এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। নীতিমালা অনুযায়ী- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়— এ পাঁচ বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ হারে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পাবে। এ ক্ষেত্রে সমান নম্বর পেলে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের ফল মূল্যায়ন করা হবে। এরপরও ক্রম নির্ধারণ করা না গেলে বৃত্তি দেওয়া হবে সমান নম্বর পাওয়া সব শিক্ষার্থীকেই।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এ সংক্রান্ত নতুন নীতিমালায় এসব বিষয় জানানো হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, ১০০ নম্বর ধরে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে পরীক্ষা হবে। আর বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বর করে পরীক্ষা হবে। সব মিলিয়ে মোট ৪০০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে তিন ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ দেওয়া থাকবে। প্রশ্নপত্র হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত অষ্টম শ্রেণির বইয়ের ভিত্তিতে।
চলতি বছরে অনুমোদিত মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। এ ক্ষেত্রে সপ্তম শ্রেণির সব প্রান্তিক পরীক্ষার সামষ্টিক ফলের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে এ তালিকা। তবে, অংশগ্রহণের এ সংখ্যা জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সময়ে সময়ে পুনর্র্নিধারণ করতে পারবে। কোনো শিক্ষার্থী একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হলে সে ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বিদ্যালয়ের মেধাক্রমের ভিত্তিতে তাকে পরীক্ষার অংশগ্রহণের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় এমন কারও অংশগ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীর প্রার্থিতা বা ফলাফল বাতিল করা হবে।
জানা গেছে, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা ও কোটাভিত্তিক বৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিটি উপজেলা ভিত্তিক বৃত্তি দেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রী উভয়ের জন্য সমান হারে ৫০ শতাংশ করে কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত কোটায় যোগ্য শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করার বিধান রাখা হয়েছে। ট্যালেন্টপুল বৃত্তি উপজেলার সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী বণ্টন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলার জন্য নির্ধারিত সংখ্যক বৃত্তি বরাদ্দ থাকবে।
বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে