টানা চার দিন দরপতনের মুখে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। ফলে দেড় হাজার কোটি টাকার ওপরে উঠে যাওয়া লেনদেন নেমে এসেছে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি মূল্যসূচক হ্রাস পেয়েছে। এতে হতাশা বিরাজ করছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। পরিস্থিতির উত্তোরণ কবে হবে, সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ছিল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি)। এদিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৯২টির। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫০টির, আর অপরিবর্তিত থাকে ৫৪টির দাম। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আর ইউনিটের দাম কমায় মূল্যসূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে, ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৫৭ পয়েন্টে আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সপ্তাহের শেষ দিনে ডিএসইতে এক হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে লেনদেন। এর আগে টানা ৮ কার্যদিবস লেনদেন হয় দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। আর টানা ১০ কার্যদিবস বৃদ্ধি পেয়েছিল মূল্যসূচক।
বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৭৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ১৫৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
সিএসইতে সপ্তাহের শেষ দিনে লেনদেন হয় ২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিনে লেনদেন হয় ৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৭ পয়েন্ট।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে