ইমরান খানের অনুপস্থিতিতে পাকিস্তানে নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুপস্থিতিতে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার ( ফেব্রুয়ারি)। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি, ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং কারচুপির অভিযোগের মধ্যেই এ নির্বাচন হচ্ছে।  

 

ভোটগ্রহণ চলবে স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ফলাফল দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। এদিকে নির্বাচনের আগের দিনও পাকিস্তানে হামলা সহিংসতার ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন।

 

পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) - দুটি প্রধান দলই ভোটের লড়াইয়ে আছে। নতুন সরকার গঠনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য দেশটির প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

হাজারেরও বেশি প্রার্থীর মধ্য তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও রয়েছেন। বেশ কয়েকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন পাক সাবেক সরকার প্রধান ইমরান খান। এ নির্বাচন পাকিস্তানের সবচেয়ে কম বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।  খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

খবরে বলা হয়েছে, অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় দুই বছর পর নির্বাচন হচ্ছে। ক্ষমতাচ্যুত করার পর দুর্নীতির মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বিতা করতেও তাকে বাধা দেওয়া হয়।

কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থী পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) প্রার্থীদের মধ্যে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইমরানের অনুপস্থিতিতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)-এর নওয়াজ শরিফকে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও জয়ের জন্য বেশ জোরালো প্রচারণাই চালিয়েছেন।

নির্বাচনে কে বিজয়ী হবেন, সেটা স্পষ্ট না হলেও এটা নির্ধারণে পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর ক্ষমতাধর জেনারেলরা বেশ বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। কেননা স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশটিতে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। বাকি ৭০টি আসন সংরক্ষিত। সরকার গঠন করতে কোনও দল বা জোটকে ১৬৯টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে হয়।

 

বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর