সরকারের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইট থেকে কী পরিমাণ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়েছে, সেটা খুঁজে বের করতে পারেনি এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি। তথ্য ফাঁস হয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদাসীনতা ও কারিগরি দুর্বলতায়। ফাঁসের কারণ উঠে এসেছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ।
বেহাত তথ্যের পরিমাণ না জানার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানী ঢাকার তথ্য ও প্রযুক্তি অধিদফতরে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের ফাঁসের কারণ জানানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের চরম গাফিলতি বিষয়টি বলা হলেও শাস্তির সুপারিশ করা হয়নি। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি বা দায়মুক্তির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে।
বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ‘ফাঁস’ হয়েছে, এমন খবর প্রথমে জানায় প্রযুক্তিবিষয়ক মার্কিন ওয়েবসাইট পত্রিকা টেকক্রাঞ্চ। গত ৮ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এ তথ্যের মধ্যে পুরো নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরও আছে। পরের দিন তথ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে। এ ফাঁসের ঘটনা কোনো হ্যাক নয়; কারিগরি ত্রুটির কারণেই তথ্যগুলো দেখা যাচ্ছে।
এদিকে এ নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করে। গেল ২২ জুলাই প্রতিমন্ত্রী পলক সাংবাদিকদের জানান, জনগণের সামনে প্রকাশের আগে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে তদন্ত প্রতিবেদনের। কার কতটা দায়, সেটা নিরূপণ করা হচ্ছে।
বিডি/এন/এমকে