দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও  ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আরও ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে তিনি বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। মতপার্থক্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর, না হলে এটাকে সুযোগ মনে করছে তারা।

বুধবার (২৩ জুলাই) বিকালে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ১৩ রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে এ বৈঠক হয়। এর আগের দিন বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ চারটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।  সে বৈঠকেও  ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা তাদের বলেন, এ ঐক্য আরও বেশি দৃশ্যমান হলে ভালো হয়। আপনারা ফ্যাসিবাদবিরোধী কোনো প্রশ্নে বা গঠনমূলক কোনো কর্মসূচিতে একসঙ্গে থাকলে সেটা দেখে একটা স্বস্তির ভাব আসবে মানুষের মধ্যে। এটা দেখে অনেক বেশি মানুষ খুশি হবে, দেশের মানুষ সেটা চায়।

এদিকে বুধবারের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরে আয়োজন ছিল আমাদের সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে অতীতকে স্মরণ করা। এ জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। এতে  ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যে ঐক্যটা দৃশ্যমান হতো। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে পরাজিত শক্তির।

ওদিকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও গণঐক্য অটুট রাখার বিষয়ে সমর্থন জানান বৈঠকে অংশ নেওয়া সব দল। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টাকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ও ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে আরও নিয়মিতভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বদলীয় সভা আয়োজনের কথাও তুলে ধরেন তারা।

বৈঠকে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির মজিবুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আহমদ আবদুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির তানিয়া রব, ১২ দলীয় জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রুহিন হোসেন প্রিন্স ও গণফোরামের মিজানুর রহমান অংশ নেন।

বিডি২৪অনলাইন/এনএন/এমকে