বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী দেশ আমেরিকা। সেইসাথে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালীও
দেশটি। আমেরিকায় যাওয়া অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। তবে দেশটিতে যারা বাস করেন, তারা
কিন্তু অতটা সুখি মানুষ নন। বরং হয়ত সবচেয়ে কম সুখি মানুষ। কেননা আত্মহত্যার দিক থেকে
বেশ এগিয়ে দেশটি। নিজের জীবন নিয়ে চরম অতৃপ্তিত থেকেই তো জীবন শেষ করতে চায় মানুষ।
আত্মহত্যায় গত বছরে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালে দেশটিতে
আত্মহত্যা করেছে ৪৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় ৭৯ শতাংশ পুরুষ। এক সরকারি
জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি)
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
দেশটিতে আত্মহত্যার হার সর্বোচ্চ ছিল ১৯৪১ সালে। এরপর ২০০০ সালের পর থেকে
২০১৮ সাল পর্যন্ত এর হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। ২০১৮ সালে দেশটিতে ৪৮ হাজার ৩০০জন আত্মহত্যা
করেন। অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ আমেরিকানের মধ্যে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ আত্মহত্যা করেছেন।
এক বিবৃতিতে মার্কিন স্বাস্থ্য সচিব জেভিয়ার বেসেরা বলেছেন, ‘প্রতি ১০ জনের
মধ্যে ৯ জন আমরিকান বিশ্বাস করেন যে তারা মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভূগছেন। এ কারণেই
সিডিসিরি এ ডাটা প্রকাশ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেক মানুষই মনে করেন মানসিক চিকিৎসা
নেওয়া এক ধরনের দূর্বলতা।’
আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে প্রাপ্তবয়স্ক ও বৃদ্ধদের মধ্যে।
৪৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ৬৫ বছরের
উর্ধ্বে বেড়েছে ৮ শতাংশ। এছাড়াও শেতাঙ্গদের মধ্যে এই হার সবচেয়ে বেশি। জানান তিনি।
আরআই