চীনের উপরে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায়
বলা হয়েছে, এখন থেকে চীনা প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন না মার্কিন কোনো ব্যক্তি
কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তথ্যপ্রযুক্তিতে চীনের অগ্রগতি টেনে ধরতেই মূলত এ নিষেধাজ্ঞা
দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের মত। খবর সিএনবিসির।
সিএনএন জানায়, চীনে বিনিয়োগের ওপর আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞা মার্কিন পুঁজি ও
দক্ষতার সহায়তায় চীনের প্রযুক্তি খাতের বিকাশ রোধে কাজ করবে। যাতে করে চীন সেই প্রযুক্তি
সামরিক খাতকে আধুনিকায়নের কাজে ব্যবহার না করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, চীন এমনটা
করলে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
মার্কিন কংগ্রেসকে লেখা এক চিঠিতে বাইডেন জানান, তিনি দেশের সংবেদনশীল প্রযুক্তি
খাত বিশেষ করে সামরিক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নজরদারি বা সাইবার-সক্ষমতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ
পণ্যের উৎপাদন সংশ্লিষ্ট খাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছেন।
যে সমস্ত খাতগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে সেগুলো হলো- সেমিকন্ডাক্টর, মাইক্রোইলেকট্রনিক্স,
কোয়ান্টাম তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই।
মার্কিন এ নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় চীন বলেছে, তারা এ আদেশ সম্পর্কে 'গুরুতর
উদ্বিগ্ন'। যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের বিপরীতে পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের অধিকার রাখে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এ আদেশ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনভাবে
কার্যক্রম পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করবে এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও
বাণিজ্য ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
আরআই