দেশে আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ক্লোজড হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেনৎ  জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।  শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় শহরের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আরও বলেন, অনেক সময় বড় ভাব নিয়ে বলা হয়- দেশে আওয়ামী লীগের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বা ৫০ শতাংশ। কিন্তু আসলে এতো লোক কোন কালেই ছিলো না। তারা প্রোগ্রামে যে লোক দেখাইতো, সেগুলো ভাড়া করা। এরা যদি তাদেরই লোক হতো, তাহলে জুলাই অভ্যত্থানে তারা মাঠে থাকতো।

সারজিস বলেন, নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ বলেছে- তারা শাপলা প্রতীক দিবে না।  এর কারণও ব্যাখ্যা করবে না। আসলে তাদের কাছে যৌক্তিক আইনগত কোন কারণ নেই। এজন্য তারা ব্যাখ্যা করতে পারছে না। নিশ্চয়ই তারা কোন চাপে এ শাপলা মার্কা দিচ্ছে না। অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশে নির্বাচন কমিশনের মতো স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান যদি মার্কা দেওয়া নিয়ে চাপের কাছে পরাজিত হয়, তাহলে নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নির্বাচন শুরুর আগেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমরা শাপলা প্রতীক অন্তর্ভূক্ত করার আবেদন করেছি। যেহেতু আইনগত কোন বাধা নেই, আমরা আশা করি- এনসিপি শাপলা প্রতীক পাবে।

গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি একিভূত করা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু সমমনা ও কাছাকাছি আদর্শের, কাছাকাছি বয়সের তরুণ প্রজন্মের  রাজনৈতিক দল। আমরা সবার সাথে কথা বলছিলাম- কিভাবে নির্বাচনে একসাথে লড়াই করা যায়। বাংলাদেশের মানুষ এ তরুণ প্রজন্মকে একসাথে ইউনাইটেড দেখতে চায়। আমরা রাজনৈতিক দলের পর্যায়ে যদি ইউনাইটেড হতে পারি, মাঠপর্যায়ের মানুষও ইউনাইটেড হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। এটি পজেটিভভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা অংশ নিয়ে মানুষের সমর্থন নিয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবো।

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে