পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের সমালোচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টা অভিযোগে মামলা  হয়েছে।  সোমবার (১২ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ভুক্তভোগী মামলার আর্জি জানালে বিজ্ঞ বিচারক দেবীগঞ্জ থানা পুলিশকে এজাহার গ্রহণের আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. জাকির হোসেন।

অভিযুক্ত মো. আব্দুল হালিম খারিজা গুয়াগ্রাম হাজরা ডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার সুপারিন্টেনডেন্ট। এর আগে মামলার বাদির সঙ্গে তার পরকীয়ার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। মামলার বাদি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীও।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদীনি খারিজা গুয়াগ্রাম হাজরাডাঙ্গা দাখিল মাদরাসার ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই বছর দুটি বিষয়ে তিনি অকৃতকার্য হয়। আসামী আব্দুল হালিম ওই মাদরাসার সুপার। আসামী কোন প্রকার টাকা ছাড়া রেজাল্ট ভাল করার জন্য বাদীর বাড়িতে প্রাইভেট পড়ান। প্রাইভেটের কিছুদিনের পরে বাদীনির প্রতি আসক্ত হয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে আসামী আব্দুল হালিম অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা লিখে ম্যাসেজ করে। এতে রাজি না হয়ে বিষয়টি তার পিতা-মাতাকে জানালে ভুক্তভোগীকে অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেয়। এদিকে আব্দুল হালিম তার স্বামীর বাড়ীর ঠিকানা সংগ্রহ করে বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করতেন। এর মধ্যে ভুক্তভোগী একদিন তার পিতার বাড়ি গেলে গত ২০ এপ্রিল রাতে অভিযুক্ত তাদের বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে তার বাবা-মাসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গেলে আব্দুল হালিম পালিয়ে যায়।

বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে