ওয়াশিংটনের কাছে ইউক্রেনের বাহিনীকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার জন্য যখন অর্থের অভাব রয়েছে, এমন সময়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সতর্ক করে বলেছেন, আজ ইউক্রেনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে এবং আমেরিকার নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

জার্মানির রামস্টেইন বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেন প্রতিরক্ষা কন্টাক্ট গ্রুপ (ইউডিসিজি) নামে পরিচিত একটি মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচেছ। ইউক্রেনকে সমর্থনকারী প্রায় ৫০টি মিত্র দেশের অংশগ্রহণে এ বৈঠকে  নেতৃত্ব দিচ্ছেন অস্টিন।

বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এমন সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।  খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

খবরে বলা হয়েছে, সতর্ক করার পাশাপাশি অস্টিন মিত্রদের বোঝাতে চেয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন নিরাপত্তা সহায়তা এবং গোলাবারুদ সরবরাহ সচল রাখতে এখানে এসেছি। এটা ইউক্রেনের টিকে থাকা এবং তাদের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার বিষয় এবং একইসঙ্গে আমেরিকার জন্য সম্মান ও নিরাপত্তার বিষয়।’

ইউক্রেনের জন্য আরও ৬০ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ সংক্রান্ত বিলের ওপর ভোট ডাকতে অস্বীকার করছেন রিপাবলিকান হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার মাইক জনসন। এ পরিস্থিতিতে রাশিয়ান বাহিনীর সাথে লড়াই চালিয়ে যাওয়া কিয়েভকে সহায়তা পাঠানোর উপায় খুঁজছে হোয়াইট হাউস।

ওয়াশিংটন কীভাবে অতিরিক্ত তহবিল ছাড়া ইউক্রেনকে সহায়তা করবে, সেটা বলেননি অস্টিন। প্রাপ্ত তথ্যমতে, তহবিলের অভাব ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের যুদ্ধে প্রভাব ফেলছে। সেখানে রাশিয়ান সৈন্যরা অগ্রসর হচ্ছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে দুষ্প্রাপ্য সম্পদ ব্যবহার ও পরিচালনা করতে হচ্ছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মিত্রদের কাছে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এ মাসে আক্রমণে ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র, ৩২০টিরও বেশি আক্রমণকারী ড্রোন এবং প্রায় ৯০০টি গাইডেড বোমা নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী। এ অবস্থায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই ইউক্রেনের কাছে এখন প্রধান গুরুত্ব হিসেবে রয়ে গেছে।

বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে