ফের ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। আমদানি দায় মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই কমে যাচ্ছে রিজার্ভ, এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি একক দাম নির্ধারণের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিনের শুরুতে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৯৩ কোটি ডলার। সারা দিনে ব্যাংকগুলোর কাছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়। ফলে দিন শেষে আরও কমেছে রিজার্ভ।
এর আগে গত ৮ মে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমেছিল। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল মাসের আমদানি দায় বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে দাঁড়ায় সেদিন। এরপর বিশ্বব্যাংকের দেওয়া বাজেটের ঋণ সহায়তা ৫০৭ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভে যুক্ত হয়। ফলে কিছুটা বেড়ে গত ১০ মে রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩০.৩৬ বিলিয়ন ডলারে।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, ২০২০ সালে করোনা হানা দেওয়ার পর রিজার্ভ বাড়তে থাকে। ক্রমাগত বেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায় রিজার্ভ। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যায় জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের। এতে দেশের আমদানি খরচ বৃদ্ধি পায়। এ আমদানি দায় মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে।
ওদিকে মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেঁধে দেওয়া নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্য পুরণ হয়নি। এ মাসে অন্তত ২২ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারের নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয় সংস্থাটি। এছাড়া সামনের জুনে নিট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে সংস্থাটি।
বিডি/ই/এমকে