পরিসংখ্যানে আয়াল্যান্ডের চেয়ে বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ। তাছাড়া দেশের মাটিতে ওয়ানযে ফরমেটে কোনো দলকেই পাত্তা দেয় না তামিমরা। শনিবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছে। সাকিব ও হৃদয় এ স্কোর গড়তে বড় অবদান রাখেন। সাকিব ৯৩ ও হৃদয় ৯২ রান করেন।
শনিবার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসে ভাগ্য পক্ষে ছিল না তামিমদের। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আয়ারল্যান্ড। আগে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবেই নেয় টাইগাররা। একদিনের ক্রিকেটের ফরমেটে সর্বোচ্চ রান গড়ার রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।
শুরুটা ভালো করলেও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তামিম। দলীয় ১৫ রানের মাথায় মার্ক অ্যাডাইর এর শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরআগে ৯ বলে ৩ রান করেন তিনি।
তামিমের বিদায়ের পর লিটনের সাথে জুটি গড়েন শান্ত। ৩৪ রানে তাদের জুটি ভাঙে ২৬ রানে লিটনের বিদায়ের পর। ক্যাম্পারের ব্যাক অফ লেন্থের বলে শর্ট কাভারে স্টার্লিংকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন।
লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। ৩৪ বলে ২৫ রান করেন তিনি। এরপর অভিষিক্ত হৃদয়কে নিয়ে ১৩৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়েন সাকিব। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৩তম ফিফটি তুলে দলীয় ২১৬ রানে ব্যক্তিগত ৯৩ রানে আউট হন সাকিব। ৭ রানের জন্য ওয়ানডেতে নিজের দশম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না সাকিব।
সাকিবের বিদায়ের পর মুশফিককে নিয়ে নতুন করে জুটি গড়েন হৃদয়। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান তারা। দলীয় ২৯৬ রানে ৪৪ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। মুশফিকের পর ক্রিজে থিতু হতে পারেননি হৃদয়। ৯২ রানে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন হৃদয়।
শেষপর্যন্ত লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের প্রচেষ্টায় স্কোরবোর্ডে ৩৩৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন গ্রাহাম হিউম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ৩৩৮/৮ (তামিম ৩, লিটন ২৬, শান্ত ২৫, সাকিব ৯৩, হৃদয় ৯২, মুশফিকুর ৪৪, ইয়াসির ১৭, তাসকিন ১১, নাসুম ১১*, মুস্তাফিজ ১*; অ্যাডাইর ১০-০-৭৭-১, হিউম ১০-০-৬০-৪, ম্যাকব্রাইন ১০-০-৪৭-১, ক্যাম্পার ৮-০-৫৬-১, ট্রেক্টর ৬-০-৪৫-০, ডেলানি ৬-০-৫০-০)