ঢাকা - মার্চ ৩০, ২০২৩ : ১৬ চৈত্র, ১৪২৯

আটোয়ারীতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

বাংলাদেশ২৪অনলাইন
মার্চ ১৭, ২০২৩ ২০:৪৮
৭৫ বার পঠিত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার লক্ষীপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- শিক্ষাবোর্ডের কাগজ জাল করে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি অনুমোদন, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাত, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য। এ সব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে সম্প্রতি আনছারুল ইসলাম নামের একজন তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বেশকিছু অভিযোগের কাগজ এ প্রতিনিধির হাতে রয়েছে।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, মাদ্রাসাটির নিয়মিত পরিচালনা কমিটির মেয়ার শেষ হওয়ার পর এডহক কমিটির অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ । প্রবিধানুযায়ী এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন পূর্বে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ৩৪ দিন পূর্বে পরিচালনা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন তিনি।

পরবর্তীতে ঘোষনাপত্রের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করেন। এদিকে অধ্যক্ষ স্বাক্ষরিত মাদ্রাসার নোটিশে বলা হয়, বৈধ প্রার্থীদের স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে প্রতীক বরাদ্দ নিতে হবে। নোটিশে ১২ জনের নাম থাকলেও ৮ জন উপস্থিতির স্বাক্ষর করেন। তাদের মধ্যে ২ জনকে বাদ দিয়ে ও অনুপস্থিত ৩ জনসহ মোট ৯ জনকে নিয়ে কমিটি করা হয়। এ বিতর্কিত কমিটি অনুমোদনের জন্য অধ্যক্ষ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করেন। কিন্তু কমিটি গঠনে নিয়ম না মেনে মেয়াদ শেষের ৯ দিন পূর্বে নির্বাচন করায় সে কমিটির অনুমোদন দেয়নি বোর্ড। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ জাল কাগজ সৃষ্টির মাধ্যমে পরবর্তীতে কৌশলে কমিটির অনুমোদন নেন। অনুমোদনের আবেদনে নিজের অসুস্থ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করলেও বাস্তবতায় তিনি অসুস্থ ছিলেন না বলে অভিযোগ, মাদ্রাসায় নিয়মিত এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, নিয়োগ নিয়ে দূর্নীতি, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন কারণে অধ্যক্ষ তিনবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলাও হয়। বিজ্ঞান শাখায় পাঠদানের কোন অনুমোদন না থাকলেও আলিম শাখায় বিজ্ঞান বিভাগে ৫জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। একজন উপাধক্ষ্যসহ ৪ পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশের পর প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এ নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।

অভিযুক্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন সরকার সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বোর্ডের কাগজ জাল করলে সেটা বোর্ড বুঝবে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো.খাদেমুল ইসলাম জানান, অধ্যক্ষ যদি কাগজ জাল করে কমিটি অনুমোদন নেয়, তাহলে সেটা তিনিই বুঝবেন।

মো.সম্রাট হোসাইন/এমকে



মন্তব্য