ইউক্রেনে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ এক বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে এখনও কোনো ফলাফল আসেনি। কবে নাগাদ এ যুদ্ধের অবসান হবে তা কেউ বলতে পারে না। রুশ আক্রমণের এক বছর পূর্তিকে সামনে রেখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে একটি খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেবে। প্রস্তাবটি জাতিসংঘের চার্টার অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। এতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুদ্ধ থামানো ও টেকসই শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার প্রস্তাবটি নিয়ে ভোট হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে ইউরোপ ও ইউক্রেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ওলোফ স্কুগ বলেছেন, ‘আমরা সদস্যদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করি। ঝুঁকিতে কেবল ইউক্রেনের ভাগ্য নয়, প্রতিটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাও জড়িয়ে আছে।’
জাতিসংঘে রাশিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি খসড়া প্রস্তাবের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বুধবার সদস্য দেশগুলোর কাছে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের মার্চে এ ধরনের একটি ভোটাভুটি হয়েছিল। সেখানে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দিয়েছিল ১৪১টি দেশ। এতে কুটনৈতিকভাবে বেশ চাপে পড়েছিল রাশিয়া। কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল মস্কো।
এছাড়া রুশ সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। রাশিয়াকে পরাস্ত করতে ইউক্রেনকে নানাভাবে সাহায্য করছে তারা। এমনকি রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলেছে দেশগুলো।