চীনের উহান শহর থেকে করোনার প্রকোপ শুরু হয়। তারপর থেকে ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এক দেশ থেকে অন্য দেশ হয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
দিন যতই যাচ্ছে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষই এটিতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শিশুদের আক্রান্তের হার তুলনা মূলকভাবে কম।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন দাবি করছে, ভাইরাসটিতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫৬ শতাংশ কম। এ ছাড়া শিশুরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মারাত্মক অসুস্থ হওয়া বা মারা যাওয়ার ঝুঁকি কম।
তবে শিশুরা যেন করোনায় আক্রান্ত না হয় সে জন্য মানতে হবে কিছু সতর্কতা। আসুন জেনে নেয়া যা সে সম্পর্কে:
১. শিশুদের আলাদা রাখা
শিশুরা যেহেতু সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে খুব বেশি কিছু বোঝে না, তাই পরিবারের অন্য সদস্য, বিশেষ করে যাঁরা বয়স্ক এবং যাঁদের অন্য কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তাঁদের যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে।
২. ঝুঁকিমুক্ত হয়ে শিশুকে স্পর্শ করা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, শিশুরাও বাইরে যাচ্ছে না। করোনার ভাইরাস তাই তাদের মধ্যে আসার সম্ভবনা খুব কম। তবে বড়দের কাছ থেকেই শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। সে জন্য বাইরে থেকে আসলে ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে তারপর শিশুদের স্পর্শ করতে হবে।
৩. আইসোলেশনে রাখতে হবে
শিশুরা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে তাদের হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সব শিশুর মধ্যে উপসর্গ থাকবে বলে তারা নিজেরা নিজেদের জন্য ঝুঁকির কারণ হবে না।
৪. পরিবারের সদস্যদের মাস্ক ব্যবহার
যেহেতু শিশুদের সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখা সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া অন্য স্বাস্থ্যবিধিগুলোও কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
৫. সচেতনতা
সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শিশুদের মধ্যেও সচেতনতার অভ্যাস গড়ে তোলা যেত পারে। তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং বুঝিয়ে বলতে হবে।
আরআই