ফ্লপি ডিস্ক, সিডি, ডিভিডি, ব্ল রে, মেমরি স্টিক- তথ্য জমা রাখতে যুগে যুগে কত কিছুই না ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন সলিড স্টেট ডিস্কের মধ্যে এক টেরাবাইট বা তারও বেশি তথ্য জমা রাখা যাচ্ছে।
কিন্তু তাতেও হচ্ছে না, প্রয়োজন এমন কোনো ডিস্কের যেখানে আরও বেশি তথ্য রাখা যাবে। তাই এবার ডিএনএ’র মধ্যে বিশাল পরিমাণ তথ্য ভরার চেষ্টা চলছে। সুইজারল্যান্ডের জুরিখ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নের অধ্যাপক রোব্যার্ট গ্রাস ও কয়েকজন গবেষক মিলে এমপিথ্রির মতো ডিজিটাল ফাইল সংরক্ষণের এমন এক প্রক্রিয়া সৃষ্টি করেছেন, যার আওতায় কৃত্রিম জিনোমের মধ্যে তথ্য রাখা যায়। একটি ডিএনএ অণু এ, সি, টি এবং জি নামের চারটি নিউক্লিয়াসের ভিত্তিতে তৈরি।
শূন্য ও এক দিয়ে তৈরি বাইনারি কম্পিউটার কোডগুলো একটি করে ভিত্তির সঙ্গে যুক্ত। তারপর এক সিন্থেসাইজার ডিএনএর কৃত্রিম স্ট্র্যান্ড বা শৃঙ্খল সৃষ্টি করে। তার ওপর কম্পিউটার ফাইল মজুদ রাখা হয়।
মাইক্রোসফটের মতো তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি এই প্রক্রিয়ায় বিপুল বিনিয়োগ করছে। গ্রাস বলেন, কম্পিউটারের গঠনগত বৈশিষ্ট্যের একটা সীমা রয়েছে। অনন্তকাল ধরে সেই ক্ষমতা বাড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। প্রাচীন প্রাণীর জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানতে পেরেছেন, হাজার হাজার বছর ধরে ডিএনএ অক্ষত থাকতে পারে। কাচের মধ্যে সংরক্ষণ করে ডিএনএ হাজার বছর ধরে অক্ষত রাখা যাবে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।
ডয়চে ভেলে